পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে একটি টর্পেডো সদৃশ বস্তু। আজ (রোববার) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের ভাঙ্গার খালে এ টর্পেডোটি ভেসে আসে। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ ফুট। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভাসমান বস্তুটি দেখতে ভিড় করেন গ্রামবাসী। এতে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জোয়ারের পানিতে ভাসতে ভাসতে বস্তুটি মৌডুবির মীরকান্দা খালে চলে আসে। কাছ থেকে দেখে লোকজন ভারী অস্ত্র মনে করে দূরত্ব বজায় রাখেন। এটিকে ‘যুদ্ধ জাহাজের টর্পেডো’ ভেবে গ্রামের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি একটি যুদ্ধাস্ত্র।’

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ  বলেন, ‘আমাদের আন্ধারমানিক নদীতে যে টিমটি আছে সেটি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু আমি দেখলাম ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল না। টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, ওটারও আছে। যেকোনো বড় জাহাজ ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌ-বাহিনীর কাছে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টর্পেডো অনেক ভারি বস্তু। সাধারণত এটা পানির নিচে থাকে। যেহেতু এটি ভেসে আসছে, সুতরাং ব্যবহার হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করছি। তাই পানিতে ভেসে ভেসে আসছে। তবে যদি ভেতরে বাতাস থাকে তাহলে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমাদের যে টিম ঘটনাস্থলে গেছে তাদের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টর্পেডো এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র, যা পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচে চালিত হয় এবং পানির নিচে বা উপরে উভয় স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।